শিশুর মানসিক বিকাশে যা জানা প্রয়োজন
মানসিকভাবে সুস্থ না হলে শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশ সম্ভব নয়। সাধারণত শিশুর শারীরিক বিকাশে যতটা গুরত্ব দেওয়া হয়, মানসিক বিকাশে ততটা মনোযোগ দেওয়ার হয়ে ওঠে না। আবার অনেক সময়ই কাজের ব্যস্ততায় বা পারিপার্শ্বিক চাপে বাবা-মা বাচ্চাদের অনেক আচরন এর প্রতি সঠিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেন না। যা একটি বাচ্চার মানসিক বিকাশের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
তাই জেনে নিন শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য কিছু জরুরি করণীয় —
- প্রথমত শিশুর জন্য সুস্থ পারিপার্শ্বিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। শিশুর সামগ্রিক বিকাশের সঙ্গে পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতা নিবিড়ভাবে জড়িত। শিরুর বেড়ে ওঠার সময় চারপাশের পরিবেশ তাকে প্রভাবিত করে এবং পরবর্তীতে এর প্রতিফলন ঘটে তার ব্যক্তিত্বে।
- বয়সভেদে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ উপযোগী সৃজনশীল খেলনা নির্বাচন করতে হবে । ঘরে ও বাইরে দুই জায়গায়ই খেলার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে খারাপ কিছু না শেখে। এমন ধরনের আবিষ্কারধর্মী ও সৃজনশীল। খেলনা শিশুকে দিতে হবে, যা তার বুদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে।
- গবেষণায় দেখা গেছে, শৈশবে যে শিশুরা ছবি আঁকার সুযোগ পায়, তারা মেধাবী ও বুদ্ধিমান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিজ্ঞানীদের মতে, শিল্পচর্চার মাধ্যমে শিশুদের মানসিক বিকাশ ঘটেন, সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়এবংসমস্যা সমাধানের ক্ষমতাও বাড়ে । তাই শিসুকে রঙ তুলি কিনে দিন এবং বিভিন্ন রকম ছবি আঁকতে উৎসাহিত করুন।
- একসময় নানী-দাদির মুখ থেকে ঠাকুমার ঝুলির গল্প শুনে সময় কাটত শিশুদের। বর্তমানে সেই চিত্র বদলে গেছে। যদিও আগেকার সেসব গল্প এখন শিশুরা আর শুনতে পারে না, তাই তাদের শিক্ষামূলক বইয়ের পাশাপাশি গল্পের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। পড়ার বইয়ের পাশাপাশি গল্পের বই পড়ার মাধ্যমে শিশুর মনোজগত বিকাশিত হয় এবং মনের ভাব প্রকাশের ক্ষমতা বাড়ে। এছাড়াও এর ফলে শিশুরা নতুন নতুন শব্দ ও বাক্য সহজে শিখতে ও বুঝতে পারে। ফলে তার পড়ার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়, এবং মেধা ও মননের পূর্ন বিকাশ নিশ্চিত হয়।
শিশুর অভিভাবক হিসেবে তার সামগ্রিক মানসিক বিকাশের দিকে সর্বদা নজর রাখুন এবং উপভোগ করুন তার সুন্দর শৈশব।
লেখকঃ সুরাইয়া ফেরদৌস
Category : Health, Children Health, Mental Health
Published By Suraiya Fardous
Published On October, 14 2021 @ 12:58