ভয় কেনো টিকা নিতে!
পুরো পৃথিবী যখন নিঃস্তব্ধ,সবাই অপেক্ষায় প্রহর গুনেছে কখন আবিষ্কার হবে করোনার টিকা!অবশেষে আবিস্কৃত হলো সেই পরম চাওয়া করোনার ভ্যাক্সিন। অদ্ভুত ব্যাপার হলো আকর্ষণের মূলে থাকা ভ্যাক্সিন হঠাৎ করেই যেন ভয়ের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশে করোনার ভ্যাক্সিন নিয়ে মূলত দু'ধরনের ভয় কাজ করেছে।একটি হচ্ছে এর চরম কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা! ২য়, এটা ভারতের তৈরি। বাস্তবতা হলো এর চরম কোনো সাইড ইফেক্ট দেখা যায় নি।এখন পর্যন্ত টিকা নেয়ায় কেউ মারা গেছে বাংলাদেশে দেখা যায় নি।স্বাভাবিক জ্বর, শরীর ব্যাথার মত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো যে কোনো ভ্যাক্সিনেই হতে পারে।বাচ্চাদের যে ভ্যাক্সিন দেয়া হয় তাতেও অনেক শিশুর এই ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়।তবে কারো তীব্র সাইড ইফেক্ট দেখা দিলে তার চিকিৎসাও যে কোনো হাসপাতালে পাওয়া যাবে।
২য় ভয়ের কারন হচ্ছে এটা ভারতে তৈরি। আসলে এটা অক্সফোর্ডের এস্ট্রোজেনেকা ভ্যাক্সিন যা ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি হচ্ছে মাত্র।সহজ করে বুঝালে ভ্যাক্সিনের রেসিপি অক্সফোর্ডের, তৈরি হচ্ছে ভারতে।যদি ভারতে তৈরি নিয়ে ভয়ের কারন হয় তাহলে মজার ব্যাপার হচ্ছে বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে বাচ্চাদের EPI শিডিউলে যে ভ্যাক্সিন দেয়া হয় এর ৭০% তৈরি হয় ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটে।অর্থাৎ ছোটবেলা থেকে আমরা যে টিকা গ্রহন করে থাকি তার ম্যাক্সিমামই ভারতের।সেগুলোতে ভয়ের কারন না থাকলে এখন ভয়ের কারন কি!
তবে মাথায় রাখতে হবে ভ্যাক্সিন সংক্রমণ রোধ করে না,করোনার বিরুদ্ধে শরীরে একটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে যা ভ্যাক্সিন নেয়ার পর কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে কার্যকর হতে।এভাবে সবার শরীরে করোনার বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উৎপন্ন হলে যাকে বলে হার্ড ইমিউনিটি, তাতে সংক্রমণ কমে যাবে।তাই ভ্যাক্সিন নিয়েও সচেতন থাকতে হবে।
অনেকে চিন্তিত করোনা ভাইরাসের মিউটেশন হলে কি হবে!আসলে এসব ভ্যাক্সিনে করোনা ভাইরাসের যে স্পাইক প্রোটিন ব্যবহার করা হয়েছে তা ম্যাক্সিমাম ভাইরাসেই থাকে তবে করোনা ভাইরাসের ব্যাপক মিউটেশনে ভ্যাক্সিনেও পরিবর্তন আসবে।যা পৃথিবীকে করবে আরো নিরাপদ।
Comments Area