ফলের রাজা আমের উপকারিতা এবং অপকারিতা
বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল হলেও অন্যতম জনপ্রিয় ফল সবসময়ই আম। পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকা এই ফল খেতে খুবই সুস্বাদু এবং দামও থাকে মানুষের হাতের নাগালে। পাকা এবং কাচা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন, আয়রন, ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি ও খনিজ উপাদান ও ক্যালরি যা শরীরে শক্তি তৈরি করে এবং শরীর সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে। তবে আমে বিদ্যমান শর্করা শরীরের ওজন বৃদ্ধিসহ নানাবিধ জটিলতার কারনও হতে পারে।
তাই এই মৌসুমে আম খাওয়ার আগে জেনে নিন এর উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে —
আমের উপকারিতাঃ
- শরীরে ভিটামিনের অভাব পূরণ করে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
- শরীরে শক্তি যোগায়
- কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
- অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে
- চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
- কাচা আমে বিদ্যমান ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
- স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে
অতিরিক্ত পরিমাণে পাকা আম খাওয়ার অপকারিতাঃ
- শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি করে
- ক্যালসিয়াম কার্বাইড নামক কেমিক্যাল মিশ্রিত আম অ্যাজমা বা হাঁপানি বাড়িয়ে দেয়
- পাকা আমে অধিক মাত্রায় শর্করা থাকায় এটি অতি দ্রুত শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে পারে।
- আমে অধিক মাত্রায় ফাইবার থাকে তাই বেশি পরিমাণে পাকা আম খেলে ডাইরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যদিও আম যথেষ্ট পুষ্টিগুন সবৃদ্ধ এবং সুস্বাদু ফল, পুষ্টিবিদদের মতে এটি অতিরিক্ত সেবন করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। বিশেষ করে যারা ডায়বেটিস এবং হৃদরোগে আক্রান্ত তাদের দৈনিক মাঝারি সাইজের একটির বেশি পাকা আম খওয়া উচিৎ নয়।
পরিমিত আম খান এবং সুস্থ থাকুন।
লেখক: সুরাইয়া ফেরদৌস
Comments Area