গরুর মাংসের পুষ্টিগুণ, ঝুকি এবং খাওয়ার সঠিক প্রক্রিয়া
ভোজন রসিকদের খাবারের তালিকায় প্রথমে থাকে গরু মাংস। আর কোরবানির ঈদের সময় রেড মিট খাওয়া পড়ে একটু বেশিই। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, গরুর মাংসের ক্ষতিকর দিক যেমন আছে, তেমনি এই মাংস অনেক উপকারও করে থাকে। কিন্তু রেড মিট আপনার জন্য উপকারী হবে না ক্ষতিকর, সেটা নির্ভর করবে আপনি কি পরিমাণে অথবা কতোটা নিয়ম মেনে খাচ্ছেন।
তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে জেনে নিন গরুর মাংসের পুষ্টিগুণ, ও খাওয়ায় সতর্কতা —
প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর মাংসে ৬৭ শতাংশ পানি ও ১৮০ কিলো-ক্যালরি থাকে। এতে ২১ গ্রাম প্রোটিন, ১৪ গ্রাম চর্বি, ৬ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম, ২.৩ গ্রাম লৌহ, ০.০৮ মি.গ্রা. ভিটামিন বি-১, ০.২৬ মি.গ্রা. ভিটামিন বি-২, ৮.২ মি.গ্রা. নায়াসিন থাকে। এছাড়াও, গরুর গোশতে জিংক, আয়রন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, সেলেনিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম-সহ অনেক ধরনের মিনারেল পাওয়া যায়।
গরুর মাংসে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং কোলেস্টেরল থাকায় উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
তাই গরুর মাংস খেয়েও ঝুঁকিমুক্ত থাকতে, নিচের ব্যাপারগুলো মেনে চলুন —
- মাংস কাটার সময় দৃশ্যমান চর্বি আলাদা করে ফেলে দিন।
- বেশি তেল মশোলা দিয়ে ভুনা করার বদলে গ্রিল, কাবাব, বারবিকিউ, বা অল্প তেলে রান্না করে ঝোল এড়িয়ে মাংস খান।
- মাংস যতটা সম্ভব ছোট ছোট টুকরো করে কাটুন। এতে করে তেল জাতীয় পদার্থ ঝরে যাবে।
- সয়াবিনের বদলে সরিষার তেল অথবা অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন।
- সবজি দিয়ে গরু মাঙ্গসের বিভিন্ন পদ রান্না করে খেতে পারেন।
- দৈনিক ৩ আউন্স বা ৮৫ গ্রামের বেশি রেড মিট খাবেন না। আয়তনের দিক থেকে এটি একটি কম্পিউটারের মাউস সমান।
- মাংসের পদের সঙ্গে প্রচুর পরিমানে সালাদ খান।
- খাওয়া শেষে কোমল পানীয় পান করবেন না।
- ডেজার্টের পরিবর্তে হজমে সহায়ক টকদই,মাঠা, বোরহানি অথবা জিরা পানি খান।
লেখকঃ সুরাইয়া ফেরদৌস
Comments Area