করোনা এড়াতে গর্ভবতী মায়েরা যে কাজ গুলো করতে পারেন
করোনা এড়াতে গর্ভবতী মায়েরা যে কাজ গুলো করতে পারেন।।।।।।।
????করোনা বা "কোভিড ১৯"যেকোন বয়সের মানুষের হতে পারে।তবে,বেশি ঝুঁকির তালিকায় তারা বেশি থাকবেন যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক কম। আর,এই তালিকায় গর্ভবতী মা,শিশু এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বয়স্ক ব্যক্তি বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা এবং হার্টের নানা রকম জটিলতা রয়েছে।
????তবে,গর্ভবতী মায়েদের বিষয়ে খুব বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।কারণ,গর্ভকালীন সময়টা এমনিতেই জটিল এবং এসময় মায়েদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক খানি কমে যায়।তাই,যেকোন রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
????সেসব মায়েরা চাকুরী করেন না তারা সম্ভব হলে সব সময় বাড়িতে থাকার চেষ্টা করুন।আর,যাদেরকে চাকুরী করতে হচ্ছে তারা যাতায়াতের জন্য গন পরিবহন এড়িয়ে চলুন।সম্ভব হলে,অফিসে জানিয়ে কিছু দিনের জন্য ছুটি নিয়ে নিন।কারন,যে হারে বাংলাদেশে প্রতিদিন করোনা রোগী সনাক্ত হচ্ছে তাতে করে আমরা যে কেউ যেকোন সময় করোনা রোগে আক্রান্ত হতে পারি।তাই,সাবধান এবং সচেতন হবার কোন বিকল্প নেই।
????যেসব মায়েরা,ঘরের কাজের জন্য গৃহ কর্মীর উপর নির্ভরশীল তারা এসময়ে একটু বাড়তি সতর্ক থাকবেন।নিজের পরিস্কার পরিছন্নতার পাশাপাশি হেল্পিং হ্যান্ডের হাইজিন মেইনটেইনের ব্যাপারে সচেতন হোন।
????গৃহকর্মী ঘরে ঢোকার পূর্বে তাকে যেকোন ধরণের জীবানু নাশক দিয়ে হাত খুব ভালভাবে জীবানু মুক্ত করিয়ে নিন।সে কোন ধরনের অসুস্থ কিনা ভালভাবে জেনে নিন।যদি কোন ধরনের অসুস্থতা থাকে তবে তাকে কাজ থেকে ছুটি দিন নিজে নিরাপদ থাকুন।
????করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় যদি সম্ভব হয় তবে অনেক বাড়িতে কাজ করে এমন গৃহকর্মী না রেখে কেবল আপনার বাড়িতে কাজ করবে এমন কাউকে বেছে নিন।এতে,পরিবারের সবাই নিরাপদ থাকবেন।
????গর্ভকালীন সময়ে প্রায় প্রতিটি মায়েরই ৪ সপ্তাহ পর পর ডাক্তার ভিজিট থাকে।অর্থাৎ,হাসপাতালে যেতেই হয়।তাই,হাসপাতালে যাবার সময় একটু সাবধানতা অবলম্বন করুন।বাইরে,যাবার সময় মাস্ক ব্যবহার করুন।ব্যাগে হ্যান্ড স্যানেটাইজার রাখুন।কিছু সময় পর পর হাত জীবানু মুক্ত করুন।বাইরে থেকে ফিরে,ভাল ভাবে হাত ধুয়ে নিন এবং যে ড্রেস পরে বাইরে গিয়েছেন সেটি স্যাভলন পানিতে ভিজিয়ে ধুয়ে নিন।
????বাইরে থেকে বাজার বা অন্যকোন জিনিস আনার সাথে সাথে গর্ভবতী মায়েরা সেটি ধরবেন না।অন্য কারো সাহায্য নিন।
????এই সময়ে কোথাও বেড়াতে যাওয়া বা দাওয়াত এড়িয়ে চলুন।কিংবা বাসায় কোন বড় ধরনের আয়োজন করা থেকে বিরত থাকুন যেখানে অনেক মানুষ এক সাথে হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
????যেসব গর্ভবতী মায়ের আগে থেকেই "অ্যাজমা বা হাঁপানি কিংবা দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসতন্ত্রের" এর সমস্যা রয়েছে তারা সব সময় ইনহেলার কাছে রাখুন।পারলে ১-২ টা ইনহেলার বাড়তি সংগ্রহে রাখুন।আপনার ঠান্ডা লাগতে পারে এমন কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
????এসময় ভিটামিন সি যুক্ত খাবার যেমনঃ কমলা, মাল্টা, কাগজি লেবুর শরবত, জাম্বুরা, আমড়া, আমলকি প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখুন।এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।সেসাথে,টিপ্টোফ্যান যুক্ত খাবার যেমনঃদুধ,ডিম,গরুর মাংস,মাছ রাখুন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাতে।
????প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।পাশাপাশি, হেলদি পানীয় যেমনঃ ডাবের পানি,চিনি ছাড়া ফলের রস কিংবা আদা চা ও রাখুন প্রতিদিনের তালিকায়।
????যাদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রয়েছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
????সম্প্রতি,দেশের বাইরে থেকে এসেছেন এবং যারা "আইইডিসিয়ারের" বেধে দেয়া নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত করেননি এমন কারো সাথে দেখা করা থেকে বিরত থাকুন।
????পরিশেষে,বলব আমাদের যার যার জায়গা থেকে সবাই উচিত সাবধান থাকা এবং সচেতন হওয়া।
***লেখক:আছিয়া পারভীন আলী শম্পা
পুষ্টিবিদ, বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড***
Comments Area