ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং রোগজীবাণুর হাত থেকে বাঁচার সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী উপায় হলো ভালোভাবে হাত ধৌত করা।এটি আমাদের দেহকে রোগজীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে দেহকে রাখে সুস্থ, সবল ও প্রাণচঞ্চল।

হাত ধৌত করার কিছু সাধারণ ও সহজ পদ্ধতি রয়েছে। যেমনঃ

→পরিষ্কার পানি ও সাবান দিয়ে হাত ধৌত করা
→যদি পরিষ্কার পানি না থাকে তবে স্যানিটাইজার ব্যাবহার করা

আমাদের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা ভালোভাবে হাত ধৌত করার উপকারিতা বুঝতে পারছি। তবে আমরা কী আমাদের হাত ভালোভাবে ধৌত করে জীবাণু মুক্ত করছি?

হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের নিয়মিত স্বাস্থ্য প্রকাশনাগুলি ইঙ্গিত দেয় যে সাবান প্রয়োগের পরে কমপক্ষে ১৫ সেকেন্ডের জন্য হাত একসাথে ঘষতে হবে। এটি শেষ হওয়ার পরে, হাতগুলি পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ভাল হাত ধৌত করার জন্য তালুতে, হাতের পিছনে এবং নখদর্পণে গুরুত্ব  দেয়া দরকার।

হাত ধৌত করার উপকারিতা কী?
বর্তমান বিশ্বের করোনা পরিস্থিতিতে হাত ধৌত করার উপকারিতা আমরা সহজেই বুঝতে পারছি। ভালোভাবে হাত ধৌত করার বিষয়টি মুটামুটি আমাদের সবার কাছেই স্পষ্ট। আমাদের সকলের কাছে এটি একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। হাত পরিষ্কার ভাবে ধৌত করার গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা গুলো নিম্নরূপঃ

(১) বর্তমান মহামারি করোনা রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম উপায়। 

(২) চিকিৎসারত ডাক্তার, কর্মী ও রোগীদের জন্য এটি একটি নিরাপদ কাজের পরিবেশ তৈরি করে।

(৩) ডায়রিয়া এবং অস্বস্তিকর অন্ত্রের রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা  রাখে। 

(৪) সাধারণ চোখের সংক্রমণ এড়ানো সাহায্য করে। 

(৫) শ্বাস নালীর সংক্রমণের বাধা প্রদান করে।

(৬) আমাদের  হাতের ব্যাকটেরিয়া ও ক্ষতিকারক জীবানু ধ্বংস করে।

প্রতিদিন সঠিকভাবে হাত ধৌত করে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে সুস্থ রাখা যায়। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমি সুস্থ থাকলে সুস্থ থাকবে আমার পরিবার, সুস্থ থাকবে আমার সমাজ, আমার দেশ। তাই আমরা নিজেদের মধ্যে সঠিক ভাবে হাত ধৌত করার মতো স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলবো এবং সবাই  কে এই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবো।