এই সময়ে সুস্থ থাকতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের ঘাটতি থেকেই যায়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে বেশিরভাগ মানুষ প্রতিদিনের খাবার থেকে পর্যাপ্ত মাত্রায় ভিটামিন এ, সি এবং ডি গ্রহণ করতে পারেন না।
তবে তাই বলে নিয়মিত ভিটামিন ট্যাবলেট বা মাল্টিভিটামিন সেবন করতে হবে এমনটা নয়। বরং প্রাকৃতিক উৎস থেকেই মিটাতে পারেন ভিটামিনের ঘাটতি। জেনে নিন শরীরের অপরিহার্য কিছু ভিটামিন এবং এগুলোর ঘাটতি পূরণ করার কার্যকরী উপায় —
ভিটামিন ডি
সূর্যের আলো ত্বকে পড়লে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। এটি আমাদের হাড় ও দাঁত সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।তবে শহুরে জীবনযাত্রার কারনে এই ভিটামিন উৎপন্ন করতে প্রতিদিন যে পরিমাণ সূর্যালোক দরকার তা হয়ত আমাদের শরীরে পড়ে না। তাই ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকতে হবে এবং ভিটামিন ডি সম্বৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
উৎস: ডিম, মাছের তেল, দুধ ও টক দই ইত্যাদি
ভিটামিন বি ১২
স্নায়ু, ডিএনএ ও লাল রক্ত কণিকার জন্য প্রয়োজন ভিটামিন বি ১২ । এছাড়া এটি দেহের শক্তি বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। প্রাণিজ খাবার থেকে পাওয়া গেলেও উদ্ভিজ্জ খাবারে থেকে মিলবে না এই ভিটামিন। তাই নিরামিষাশীদের এই ভিটামিনের ঘাটতি থাকতে পারে।
উৎস: গৃহপালিত গরুর মাংস, মুরগি, সামুদ্রিক ও দুগ্ধজাত খাবার এবং ডিম থেকে মিলবে বি টুয়েল্ভ।
ভিটামিন এ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, কোষের বৃদ্ধি ও নিরাময় এবং হাড়ের শক্তির জন্য ভিটামিন এ খুবই জরুরি।
উৎস: মিষ্টি আলু,গাজ্ ছোট মাছ, সবুজ শাক-সবজি, ফিশ লিভার অয়েল, যকৃত, ডিমের কুসুম, মাখন ও দুধের সর ভিটামিন এ’র উৎকৃষ্ট উৎস।
ভিটামিন সি
কোভিড-১৯ মহামারীর শুরুর পর ভিটামিন সি কথা কারও জানতে বাকি নেই। ভিটামিন সি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বক সুস্থ রাথে এবং ধমনী ভালো রাখে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর, বিশেষ করে ঠাণ্ডা জনিত রোগ দূরে রাখতে ভিটামিন সি দরকার।
উৎস: টক-জাতীয় ফল, কমল্ আমলকি, জলপাই, লাল ক্যাপ্সিকাম, মরিচ, ব্রকলি, স্ট্রবেরি ভিটামিন সি’র ভালো উৎস।
লেখকঃ সুরাইয়া ফেরদৌস