নারীরা চল্লিশের পরও সতেজ থাকতে যেসব খাবার খাবেন
বর্তমানে নারীরা সংসার সামলানোর পাশাপাশি সংসারে অর্থসাহায্য এবং অন্যসব কর্তব্যও পালন করে থাকেন। আর সন্তানের মা হলে তার প্রতি আলাদা দায়িত্ব তো আছেই। কিন্তু দিন-রাত এই ব্যস্ত শিডিউলে কাজ করতে গিয়ে নিজের শরীরের প্রতি খেয়াল রাখছেন তো?
সম্প্রতি স্বাস্থ্যবিষয়ক একটী আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে নারীদের নিজের শরীরের প্রতি গাফিলতির কারণে অল্প বয়সেই ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে পারে। হাজার কাজের মধ্যেও শরীরের ঠিকঠাক যত্ন নিতে পারলে চল্লিশ কেন তার পরেও যৌবন ধরে রাখা সম্ভব।
জেনে নিন কোন কোন খাবার শরীরের ভেতর থেকে বার্ধক্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে —
বাদাম
চল্লিশের কোঠা পেরোলে শরীরে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ফাইবার ও মাইক্রোনিউট্র্যান্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপকরণগুলোর ঘাটতি দেখা যায়। এরই সঙ্গে শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়তে থাকে, যা ডেকে আনে হার্টের বিপদ। চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, ক্যাশূনাট, আমন্ড শরীরে ঘাটতি হওয়া প্রোটিন ফাইবার ও অন্যান্য উপকরণও সরবরাহ করে। তবে বাদামের মধ্যে আখরোট আর আমন্ড কোলেস্টেরল কমানোর জন্য সবচেয়ে উপকারী।
বেদানা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বকে কোলাজেন নামে একটি পদার্থ থাকে যা ত্বককে টানটান রাখে। এ কারণেই যৌবনে সুন্দর দেখায়। ফ্রি রেডিক্যালস ত্বকের এই কোলাজেনকে ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয়। যার ফলে ত্বকে রিঙ্কলস, ফাইনলাইনস ইত্যাদি দেখা দেয়। বেদানা তাই শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বেদানার রস শরীরে ফ্রি রেডিক্যালগুলোকে নষ্ট করে দিতে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, এটি কোলাজেনকেও নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
গাজর
গাজরে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, যা ট্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোলাজেনকে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। এর ফলে ত্বক থাকে টানটান এবং সতেজ চল্লিশের পরেও।
মাশরুম
বয়স চল্লিশের কোঠায় পড়লেই কোমর ব্যথা, হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা, শিরদাঁড়াতে ব্যথা শুরু হয়, হাঁটুতে পানি জমে। কাজের চাপে শারীরিক স্ট্রেসের কারণে শরীর আরো ভেঙে পড়ে। ডাক্তাররা বলছেন, ক্যালসিয়ামের অভাব হাড়ের দুর্বলতার একটি মূল কারণ। আর হাড়ের দুর্বলতা থেকেই এসব রোগের উপক্রম। মাশরুমে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি, যা হাড়কে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে। তাই শরীরে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে মাশরুম খাওয়া খুবই জরুরী।
আনারস
ত্বকে মধ্যে কোলাজেন তৈরি হতে লাগে কয়েকটি অ্যামিনো অ্যাসিড। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চল্লিশের পর থেকে নারী-পুরুষ সবার শরীরে এই অ্যামিনো অ্যাসিডের মাত্রা কমে যেতে থাকে। ফলে পর্যাপ্ত কোলাজেন তৈরি হতে পারে না । আনারস রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, যা এই অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরিতে প্রধান ভূমিকা রাখে। তাই ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে আনারসেকে প্রতিদিনের ডায়েট রাখতে হবে।
উল্লিখিত কয়েকটা খাবার নিয়মিত খেলে এবং সুষম ডায়েট মেনে চললে ত্বক ও শরীরে সতেজতা ধরে রাখা যায় বার্ধক্যেও।
লেখকঃ সুরাইয়া ফেরদৌস