কার্বোহাইড্রেইট গ্রহণ করে কিভাবে ওজন কমাবেন?
শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট হচ্ছে ফলমূল, শাক-সবজি, শস্যদানা এবং দুধ জাতীয় খাদ্য থেকে পাওয়া সুগার, স্টার্চ এবং ফাইবার। কার্বোহাইড্রেট একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলেও এযুগের বহুল প্রচলিত ডায়েটগুলোতে শর্করাজাতীয় সব খাবারকে ক্ষতিকর হিসেবে দেখানো হয় এবং অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
তাই যে কোন ডায়েট মেনে চলার সময় মাথায় রাখতে হবে শর্করা শত্রু নয়। পরিশোধিত শর্করার বদলে জটিল যৌগের কার্বোহাইড্রেইট জাতীয় খাবার খবার খেলে শরীর ভালো থাকবে এবং সুস্থভাবে ওজনও কমবে।
জেনে নিন কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করেও কিভাবে ওজন কমাতে পারেন —
- ফলমূল জুস না করে কেটে চিবিয়ে খান। রস করে খেলে তা ক্ষুধা নিবারণকারী আঁশকে সরিয়ে দেয় এবং উপকারের তুলনায় ক্ষতিই বেশি করে থাকে।
- পরিশোধিত শর্করা যেমন প্যাকেটের সাদা চিনি, রিফাইন্ড আটা, ময়দা, সুজি, সফট ড্রিংক, ফ্রোজেন খাবারের বদলে জটিল যৌগের শর্করা যেমন লাল আটা, আখের চিনি, বাদাম, ডাল, টাটকা সবজি, ফলমূল ইত্যাদি খান।
- উচ্চ কার্বোহাইড্রেইট সমৃদ্ধ খাবার ধুয়ে ফেলতে গ্রিন টি উপকারী, তাই প্রতিদিন গ্রিন টি পান করুন।
- শর্করা জাতীয় খাবারের সাথে সামান্য চর্বি যোগ করুন এতে তাড়াতাড়ি পেট ভরে যাবে এবং ক্ষুধা কম লাগবে।
- সকালে উঠেই নাস্তার আগে শরীরচর্চা করুন।
- খাদ্যতালিকা থেকে শর্করা বাদ না দিয়ে ‘লো-কার্ব ডায়েট’ বা কম শর্করা-জাতীয় খাদ্যাভ্যাস মেনে চলুন।
কার্বোহাইড্রেট ভালো কি খারাপ, তা নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের শর্করা কী পরিমাণ গ্রহণ করছেন তার ওপর। কার্বযুক্ত খাবার বাদ দিলে হয়তো মাত্রাতিরিক্ত ওজন থেকে অল্প সময়য়ের কমানো যাবে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী সুস্বাস্থ্যের জন্য কার্বোহাইড্রেটের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। তাই উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে সঠিক কার্ব সঠিক পরিমানে খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়িয়ে সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারেন।
লেখক: সুরাইয়া ফেরদৌস
Comments Area